হলিউড নায়কের প্রেমে পড়েছিলেন নাকিয়া শাবনূর

চলচিত্র নাকিয়া শাবনূর

by মাহবুব সজল

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমা জগতের শীর্ষে থাকা অভিনেত্রী শাবনূর তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে সিনেমা জগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তার প্রথম সিনেমা ছিল এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’সহ আরও বহু জনপ্রিয় সিনেমায়।

সাম্প্রতিক জীবন
বর্তমানে শাবনূর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। অভিনয়ে নিয়মিত না থাকলেও ভক্তদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা আজও অটুট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে ভক্তদের আনন্দ দেন নব্বই দশকের এই গ্ল্যামার কুইন।

ব্যক্তিগত জীবনের রহস্যময়তা
শাবনূরের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময় ছিলেন গোপনীয়। সম্পর্ক ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও কখনোই সে বিষয়ে মন্তব্য করতেন না। তার এই গোপনীয়তাই তাকে নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

তারকাদের প্রতি শাবনূরের ভালোলাগা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের পছন্দের তারকাদের নিয়ে কথা বলেছেন শাবনূর। তিনি জানান, দেশের বাইরের তারকাদের মধ্যে টম ক্রুজ তার সবচেয়ে প্রিয়। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওও আছেন তার পছন্দের তালিকায়। তিনি বলেন, “টম ক্রুজ আমার ক্রাশ। তরুণী থাকতেই মধুমিতায় ‘মিশন ইম্পসিবল’ দেখে তার প্রেমে পড়ি। বুড়ো হলেও একবার তার সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার ছেলে বলেছে, বড় হলে আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করাবে। দেখা হলে একগুচ্ছ গোলাপ দেব।”

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও সম্পর্কে শাবনূর বলেন, “টাইটানিক দেখার পর থেকেই তাকে ভালো লাগা শুরু হয়। চকলেট বয় টাইপের নায়করা সবসময় আমার পছন্দ। তাই মনে মনে লিওনার্দোর নায়িকা হতে না চাইলেও তার প্রতি একটা টান অনুভব করেছি।”

চকলেট বয় নায়কদের প্রতি দুর্বলতা
নিজের সিনেমার নায়কদের প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, “আমি সবসময় চকলেট বয়দের সঙ্গে কাজ করেছি। আমার সহ-অভিনেতাদের তালিকা দেখলেই তা বোঝা যাবে— সালমান শাহ, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব খান— তারা সবাই চকলেট বয় টাইপের। তাদের সঙ্গেই আমার সিনেমাগুলো সাফল্য পেয়েছে।”

শাবনূরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিত্ব তাকে ঢালিউডের এক রহস্যময় এবং চিরসবুজ তারকায় পরিণত করেছে।

You may also like