অভিনেত্রী জয়া আহসান এপার-ওপার দুই বাংলারই জনপ্রিয়।
চলতি মাসের শুরুতে মুম্বাইয়ে ফিল্মফেয়ারের ওটিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়া। সেখানে জামদানিতে আলো ছড়ান। সেখানেই একদম অন্যভাবে জামদানি শাড়ি পরে বিতর্কে জয়া। জয়াকে এই জামদানি শাড়ি একেবারে ব্যতিক্রমী স্টাইলে পরতে দেখা গিয়েছিল।
কয়েক বছর ধরে দেশের তুলনায় ভারতের সিনেমাতে বেশি দেখা গেছে জয়াকে। তাই তার ভক্তদের অনেকেই মনে করেন, নিজ দেশের চেয়ে পাশের দেশে বেশি সময় দেন তিনি।
কিন্তু জয়া জানালেন ভিন্ন কথা। শুধু প্রয়োজন ছাড়া ভারতে থাকেন না তিনি। জয়া বলেন, ‘শুটিং থাকলে কলকাতা যাওয়া হয়। আউটডোর শুটিংয়ে অন্যরা যেভাবে বাইরে যান, আমিও কলকাতায় কাজ থাকলে সেভাবে যাই। কাজ শেষে আবার ঢাকায় ফিরে আসি। কিন্তু অনেকে ভাবে, আমি বেশিরভাগ সময় সেখানে থাকি। সেদিন সীতাকুণ্ডে শুটিংয়ে গিয়েছিলাম, তারা ভেবেছে আমি ভারতে।’
জয়া আহসান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি বিশেষভাবে টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ নাটকে তার অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৮৩ সালের ১ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, তবে বাংলাদেশের একটি শহরের বাসিন্দা। তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং দিয়ে, কিন্তু তিনি দ্রুত অভিনেত্রী হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।
জয়া আহসান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে এক নতুন ধারার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের সিনেমা জগতেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন। তার অভিনীত কিছু বিখ্যাত সিনেমার মধ্যে রয়েছে “গেরিলা” (২০১১), “ঊর্ধ্বতন” (২০১৫), “পোস্ত” (২০১৭), “রেড” (২০২১) ইত্যাদি।
জয়া তাঁর অনন্য অভিনয় শৈলীর জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। বিশেষ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার তিনি অর্জন করেছেন। তার অভিনয় ক্ষমতা, চেহারা এবং চরিত্রের গভীরতা তাকে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
জয়া আহসান কেবল অভিনয়েই নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ আলোচিত। তিনি একজন প্রাঞ্জল, অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রায়ই সামাজিক ও মানবিক বিষয়েও কথা বলেন এবং তার কাজের মাধ্যমে সমাজের নানা সমস্যার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেই বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছেন তিনি। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে তার ‘ওসিডি’ সিনেমাটি। দেশে মুক্তির তালিকায় আছে ‘নকশী কাঁথার জমিন’, ‘জয়া আর শারমিন’, ‘ফেরেশতে’ সিনেমাগুলো।
সোর্স-এআই