ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক, Question And Answer Of Driving License Exam
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নগুলো পড়লেই কমন পাওয়া যাবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে লাইসেন্স পাওয়া যায়। আপনি যদি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে ড্রাইভিং পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক (যেখান থেকে প্রশ্ন আসে) উত্তরসহ দেওয়া হল।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর,
০১. প্রশ্ন : পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তর : যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে কোনো মোটরযান চালিয়ে থাকে, তাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
০২. প্রশ্ন : পিএসভি লাইসেন্স কী ?
উত্তর : পিএসভি অর্থ পাবলিক সার্ভিস ভেহিকেল। ভাড়ায় চালিত যাত্রীবাহী মোটরযান চালানোর জন্য প্রত্যেক চালককে তার লাইসেন্সের অতিরিক্ত হিসাবে পিএসভি লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়।
০৩. প্রশ্ন : পাবলিক সার্ভিস মোটরযান (public service vehicle) কাকে বলে ?
উত্তর : যে-মোটরযান ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে পাবলিক সার্ভিস মোটরযান বলে। ভাড়ায় চালিত বাস মিনিবাস, হিউম্যানহলার (লেগুনা), ট্যাক্সিক্যাব ইত্যাদি পাবলিক সার্ভিস মোটরযানের অন্তর্ভুক্ত।
০৪. প্রশ্ন : বাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তর : চালকসহ ৩১ জনের বেশি অর্থাৎ চালকসহ সর্বনিম্ন ৩২ জন।
০৫. প্রশ্ন : মিনিবাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তর : চালকসহ সর্বনিম্ন ১৬ জন এবং সর্বোচ্চ ৩১ জন।
৬. প্রশ্ন : একজন পেশাদার চালক দৈনিক কত ঘণ্টা গাড়ি চালাবে বা মোটরযানে কর্মঘন্টা কত ? উত্তর : এক নাগাড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি নয়। অতঃপর আধাঘণ্টা বিশ্রাম বা বিরতি নিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি নয়। তবে ১ সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি নয়।
০৭. প্রশ্ন : ইঞ্জিন কাকে বলে ?
উত্তর : ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র যেখানে জ্বালানি বা ফুয়েলকে পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তিতে এবং তাপশক্তিকে পরে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়।
০৮. প্রশ্ন : ইঞ্জিনের প্রধান প্রধান কয়েকটি যন্ত্রাংশের নাম কী ?
উত্তর : ক. সিলিন্ডারহেড খ. সিলিন্ডারবøক গ. পিস্টন ঘ. ক্রাংশ্যাফ্ট ঙ. ক্যাম ও ক্যাম শ্যাফ্ট চ. কানেকটিং রড ছ. বিয়ারিং জ. ফ্লাই হুইল ঝ. অয়েলপ্যান ইত্যাদি।
০৯. প্রশ্ন : পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তর : ক.পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয়। খ. পেট্রোল ইঞ্জিনে স্পার্ক করে ইগ্নিশন করা হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কমপ্রেশন করে ইগনিশন করা হয়। গ. পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কার্বুরেটরের স্থলে ইনজেক্টর থাকে। ঘ. পেট্রোল ইঞ্জিন অটো সাইকেলে কাজ করে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলে কাজ করে।
১০. প্রশ্ন : কী কী লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ‘ওভার হলিং’ করার প্রয়োজন হয় ?
উত্তর : ক. ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং লুবঅয়েল (মবিল) বেশি খরচ হলে। খ. ইঞ্জিন হতে অত্যধিক কালো ধোঁয়া বের হলে। গ. বোঝা বহন করার ক্ষমতা কমে গেলে। ঘ. ফার্স্ট গিয়ারে উঁচু রাস্তায় উঠবার সময় ইঞ্জিন গাড়িকে টানতে না পারলে।
১১. প্রশ্ন : ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেমের কাজ বা উদ্দেশ্য কী ?
উত্তর : ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা হ্রাস করে ইঞ্জিনকে কার্যকরী তাপমাত্রায় রাখাই কুলিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য বা কাজ।
১২. প্রশ্ন : রেডিয়েটরের কাজ কী ?
উত্তর : রেডিয়েটরের কাজ পানি ঠান্ডা করা। রেডিয়েটর হতে ঠান্ডা পানি পাম্পের সাহায্যে ওয়াটার জ্যাকেটের মাধ্যমে ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা করে এবং গরম অবস্থায় পুনরায় রেডিয়েটরে ফিরে আসে। রেডিয়েটরে এই গরম পানি ঠান্ডা হয়ে পুনরায় ইঞ্জিনে যায়।
১৩. প্রশ্ন : কুলিং ফ্যানের কাজ কী ?
উত্তর : রেডিয়েটরের ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করা এবং গরম পানিকে ঠান্ডা করা।
১৪. প্রশ্ন : এয়ার কুলিং সিস্টেমে ইঞ্জিন কিভাবে ঠান্ডা হয় ?
উত্তর : ইঞ্জিন সিলিন্ডার ও হেডের চতুর্দিকে বেশ কিছু পাতলা লোহার পাত (ফিন) থাকে। বাতাসের সংস্পর্শে এই পাতলা লোহার পাতসমূহ ঠান্ডা হয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে। যেমনঃ মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা ইত্যাদি গাড়িতে এয়ার কুলিং সিস্টেম দেখা যায়।
১৫. প্রশ্ন : ওয়াটার কুলিং সিস্টেমে কী ধরনের পানি ব্যবহার করা উচিত ?
উত্তর : ডিস্টিল্ড ওয়াটারের ন্যায় পরিষ্কার পানি, যেমন-পরিষ্কার পুকুর, নদী ও বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা উচিত। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি ও লৌহ মিশ্রিত পানি (কোনো কোনো টিউবওয়েলের পানি) ব্যবহার করা উচিত নয়।
১৬. প্রশ্ন : ফ্যানবেল্ট কোথায় থাকে ?
উত্তর : ইঞ্জিনের পুলি, ফ্যান পুলি ও ডায়নামো পুলির ওপরে পরানো থাকে।
১৭. প্রশ্ন : একটি ইঞ্জিন অত্যধিক গরম অবস্থায় চলছে তা কীভাবে বুঝা যাবে ?
উত্তর : (ক) ড্যাশবোর্ডে টেম্পারেচার মিটারের কাটা লাল দাগে চলে যাবে। (খ) ইঞ্জিনে খট খট শব্দ (নকিং) হবে। (গ) পানি বেশি বাষ্পায়িত হয়ে ওভারফ্লো পাইপ দিয়ে বের হতে থাকবে। (ঘ) ক্রমান্বয়ে ইঞ্জিনের শক্তি কমতে থাকবে।
১৮. প্রশ্ন : ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে করণীয় কী এবং এ অবস্থায় গাড়ি চালালে কী অসুবিধা হবে?
উত্তর : প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধকরে সুবিধামতো স্থানে গাড়ি পার্ক করতে হবে এবং বনেট খুলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে। তারপর ইঞ্জিন গরম হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করেসেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে যে-কোনো মুহূর্তে পিষ্টন ও বেয়ারিং গলে গিয়ে ইঞ্জিন জ্যাম বা সিজড হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ইঞ্জিন পুনরায় ওভারহলিং করতে হবে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
১৯. প্রশ্ন : এয়ারক্লিনারের কাজ কী ?
উত্তর : বাতাসে যে-সমস্ত ধূলিকণা থাকে তা পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিনে সরবরাহ করা। পরিষ্কার বাতাস কার্বুরেটরের মধ্যে প্রবেশ না করলে ধূলিকণা পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত হয়ে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার, পিস্টন এবং পিস্টন রিংয়ের অতি দ্রæত ক্ষয় সাধন করে।
২০. প্রশ্ন : কার্বুরেটরের অবস্থান কোথায় এবং এর কাজ কী ?
উত্তর : কার্বুরেটরের অবস্থান ইঞ্জিনের ইনটেক ম্যানিফোল্ডের ওপরে ও এয়ারক্লিনারের নিচে। ফুয়েল ও বাতাসকে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করে ইঞ্জিনে সরবরাহ করাই এর কাজ।
২১. প্রশ্ন : ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ কী ?
উত্তর : প্রত্যেকটি স্পার্ক প্লাগে হাইভোল্টেজ কারেন্ট পৌঁছে দেওয়া ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ।
২২. প্রশ্ন : কনডেনসারের কাজ কী ?
উত্তর : ডিস্ট্রিবিউটরের কনট্যাক্টব্রেকার পয়েন্টকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা।
২৩. প্রশ্ন : স্পার্ক প্লাগ কোথায় থাকে ?
উত্তর : পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারহেডে।
২৪. প্রশ্ন : এয়ারলক ও ভেপারলক এর অর্থ কী ?
উত্তর : ফুয়েল লাইনে বাতাস প্রবেশের কারণে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে এয়ারলক বলে। ফুয়েল লাইন অত্যধিক তাপের সংস্পর্শে আসলে লাইনের ভেতর ভেপার বা বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্পের চাপে লাইনের ভেতর ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হওয়াকেই ভেপারলক বলে।
২৫. প্রশ্ন : কোন কোন ত্রæটির কারণে সাধারণত ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না ?
উত্তর : (ক) জ্বালানি (পেট্রোল/ডিজেল/সিএনজি) না থাকলে, (খ) ব্যাটারিতে চার্জ না থাকলে বা দুর্বল হলে, (গ) সেল্ফস্টার্টার ঠিকমতো কাজ না করলে, (ঘ) কার্বুরেটর ঠিকমতো কাজ না করলে, (ঙ) ইগনিশন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করলে, (চ) ডিজেলইঞ্জিনের জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে।
২৬. প্রশ্ন : কী কী কারণে ইঞ্জিন চালু অবস্থায় বন্ধ হতে পারে ?
উত্তর : (ক) জ্বালানি (পেট্রোল/ডিজেল/সিএনজি) শেষ হয়ে গেলে বা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে, (খ) ডিজেলইঞ্জিনের জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে, (গ) স্পার্কপ্লাগে অতিরিক্ত তেল (মবিল) বা কার্বন জমা হলে, (ঘ) কার্বুরেটরে ফ্লাডিং হলে অর্থাৎ কার্বুরেটরে অতিরিক্ত জ্বালানি সরবরাহ হলে, (ঙ) এক্সিলারেটর প্রয়োজনমতো না চেপে ক্লাচ প্যাডেল ছেড়ে দিলে, (চ) অতিরিক্ত বোঝা বহন করলে।
২৭. প্রশ্ন : ইগনিশন সিস্টেম ঠিক থাকা সত্ত্বেও একটি ঠান্ডা ইঞ্জিন স্টার্ট না হলে কী করতে হবে ?
উত্তর : মিকচার আরো রিচ করতে হবে (এ্যাক্সিলারেটর দাবায়ে কার্বুরেটর ফ্লাডিং দ্বারা অথবা এয়ার ইনটেক সম্পূর্ণ বন্ধ করে)।
২৮. প্রশ্ন : ইগনিশন সিস্টেম ঠিক থাকা সত্ত্বেও একটি ইঞ্জিন গরম অবস্থায় স্টার্ট না হলে কী করতে হবে ?
উত্তর : মিকচার খুব বেশি রিচ হলে এমনটি হয়। ইগনিশনসুইচ অফ করে এবং থ্রটলভালভ সম্পূর্ণ খুলে ইঞ্জিনকে কয়েকবার ঘুরাতে হবে। তারপর থ্রটলভালভ বন্ধ করে ইগনিশনসুইচ অন করতে হবে।
২৯. প্রশ্ন : ডিজেল ইঞ্জিনে গভর্নরের কাজ কী ?
উত্তর : গভর্নর ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল (ডিজেল) সরবরাহকে নিয়ন্ত্রন করে ইঞ্জিনের স্পিড বা গতি নিয়ন্ত্রন করে।