• হোম
  • শিক্ষা
  • পাঠ্য বই
  • চাকরির খবর
  • ভর্তি তথ্য
  • সাধারণ জ্ঞান
  • প্রশিক্ষণ বিজ্ঞপ্তি
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • বিনোদন
  • লাইব্রেরি
Mahbub Shajal
Education-Job News-Technology
Home » Life Style » Page 2
Category:

Life Style

Life Style

দিশা, মৌনি ও কৃষ্ণা ঘুরতে বেড়িয়েছে

by মাহবুব সজল December 19, 2024
written by মাহবুব সজল

বলিউড অভিনেত্রী মৌনি রায় ও দিশা পাটানির ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথা সবার জানা। তাঁদের ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাসও ভক্তদের নজর এড়ায় না। এবার তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কৃষ্ণা শ্রফ। সম্প্রতি তিনজন মিলে থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন। তাঁদের ভ্রমণের কিছু চমৎকার মুহূর্ত ধরা পড়েছে ইনস্টাগ্রামের পোস্টে, যা ভক্তদের মন কেড়েছে।

থাইল্যান্ড সফরে দিশা, মৌনি এবং কৃষ্ণা শ্রফকে একই রঙের পোশাকে দেখা গেছে। কোনো ছবিতে তাঁরা রয়েছেন হোটেল কক্ষে, আবার কোনো ছবিতে সমুদ্রসৈকতে। সমুদ্রস্নানের ছবিগুলোতেও সফরের আনন্দ স্পষ্ট। দিশার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এসব ছবির মন্তব্যের ঘরে ভক্তরা তাঁদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার তাঁদের ভ্রমণ নিয়ে ভিডিও করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তাঁদের মজার মুহূর্তগুলো সত্যিই উপভোগ্য, যা তাঁদের বন্ধুত্বের গভীরতার পরিচয় দেয়।

দিশা পাটানি

  • পেশা: বলিউড অভিনেত্রী এবং মডেল।
  • প্রথম সিনেমা: ২০১৫ সালে তেলেগু চলচ্চিত্র লোফার দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। বলিউডে তিনি পরিচিতি পান এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (২০১৬) দিয়ে।
  • প্রতিভা: দিশা তাঁর নাচ এবং ফিটনেসের জন্য বেশ পরিচিত।
  • ইনস্টাগ্রাম: দিশা নিয়মিতভাবে ফিটনেস এবং ভ্রমণের ছবি শেয়ার করেন।

মৌনি রায়

  • পেশা: অভিনেত্রী, মডেল, এবং নৃত্যশিল্পী।
  • ক্যারিয়ার শুরু: টেলিভিশন ধারাবাহিক কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি দিয়ে শুরু করেন। পরে নাগিন সিরিজে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
  • বলিউড অভিষেক: গোল্ড (২০১৮) সিনেমায় অক্ষয় কুমারের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে অভিষেক করেন।
  • অন্যান্য দক্ষতা: মৌনি তাঁর স্টাইল এবং নাচের দক্ষতার জন্য বিখ্যাত।

কৃষ্ণা শ্রফ

  • পরিচিতি: তিনি বলিউড অভিনেতা টাইগার শ্রফের বোন।
  • পেশা: ফিটনেস এন্ট্রাপ্রেনার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
  • ফিটনেস প্রেমী: কৃষ্ণা তাঁর ফিটনেস ব্র্যান্ড এবং জিম উদ্যোগের জন্য পরিচিত।
  • ইনস্টাগ্রাম: কৃষ্ণা নিয়মিত তাঁর ফিটনেস রুটিন এবং স্টাইল শেয়ার করেন।

এদের তিনজনের বন্ধুত্ব এবং ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখে বোঝা যায়, তারা একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেন এবং আনন্দমুখর জীবনযাপন করেন।

December 19, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

ক্যাপ্টেন আমেরিকার নতুন অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে

by মাহবুব সজল December 17, 2024
written by মাহবুব সজল

 

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স আবারও সুপারহিরোদের মিলনমেলা ঘটিয়ে নতুন অ্যাভেঞ্জার্স নিয়ে আসতে চলেছে। এবারের কিস্তির নাম রাখা হয়েছে ‌‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’। এ সিনেমায় ফিরে আসবেন জনপ্রিয় সব সুপারহিরোরা। অনেক তারকাকে দেখা যাবে বিরতির পর অ্যাভেঞ্জার্স দিয়ে ফিরতে।

তাদের অন্যতম একজন ক্রিস ইভান্স। হলিউড রিপোর্টার খবর দিয়েছে, তিনিও ফিরছেন নতুন অ্যাভেঞ্জার্সে। পৃথিবীর বুক থেকে কালো ছায়া দূর করতে সুপারহিরোদের লড়াইয়ে তিনিও অংশ নেবেন।

ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে ক্রিস ইভান্সের জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে তিনি ‘ডেডপুল’ এবং ‘উলভারিন’ সিনেমায় জনি স্টর্ম/দ্য হিউম্যান টর্চ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেটি ছিল ফক্স দ্বারা নির্মিত ফ্যান্টাস্টিক ফোর সিনেমাগুলোর পুনরাবৃত্তি।

তাই এখন পর্যন্ত এটি স্পষ্ট নয় যে ইভান্স কোন চরিত্রে অ্যাভেঞ্জার্সে ফিরে আসবেন। তিনি কি ক্যাপ্টেন আমেরিকা হয়েই ফিরবেন নাকি জনি স্টর্ম চরিত্রে- নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। আপাতত ক্রিস ইভান্স ফিরছেন সুপারহিরো হয়ে এই খবরেই খুশি তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

নতুন অ্যাভেঞ্জার্সে ক্যাপ্টেন আমেরিকা হয়ে ফিরবেন ইভান্স

মার্ভেল কমিকসের স্টিভ রজার্স চরিত্রটিই সুপারহিরো ক্যাপ্টেন আমেরিকা। ক্রিস ইভান্স একাধিকবার এই চরিত্রে কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১০ সালে তিনি প্রথম ক্যাপ্টেন আমেরিকা হতে রাজি হন এবং নির্বাচিতও হয়ে যান। ২০১১ সালে ইভান্সকে প্রথম ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে দেখা যায় ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’ ছবিতে। এরপর অনেক মার্ভেল সিনেমায় কাজ করেছেন।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ সিনেমায় দেখা যায় ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রের স্টিভ রজার্স অবসর নেন। সেসময় তিনি আরেক সুপারহিরো ফ্যালকন চরিত্রের স্যাম উইলসনকে ক্যাপ্টেন আমেরিকার শিল্ড দিয়ে যান। সেই ছবিতে স্যাম উইলসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি ম্যাকি। ২০১৯ এর পর আর মার্ভেলের সিনেমায় ক্রিস ইভান্সকে দেখা যায়নি।

 

ধারণা করা হচ্ছে নতুন অ্যাভেঞ্জার্সে তাকে ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে হাজির করবেন পরিচালক রুশো ব্রাদারর্স। আর যদি এমনটা হয় তবে তা হবে মার্ভেলপ্রেমীদের জন্য দারুণ কিছু। ২০২৩ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ইভান্সও চরিত্রটিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বলেন, ‘যদি সঠিক গল্প হয় তবে ফিরতে প্রস্তুত। আমি চাই না এটা কেবল টাকা উপার্জনের জন্য হোক। প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রত্যাবর্তন চাই আমি। আমার মনে হয় দর্শকও তাই চায়।’

ক্যাপ্টেন আমেরিকা সম্পর্কে আরও কিছু অজানা কথা

ক্যাপ্টেন আমেরিকা মার্ভেল কমিকসের একটি জনপ্রিয় সুপারহিরো চরিত্র। এই চরিত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা, যা মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স (MCU) এর অংশ। নিচে ক্যাপ্টেন আমেরিকার প্রধান সিনেমাগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:

১. Captain America: The First Avenger (2011)
পরিচালক: জো জনস্টন
কাহিনি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্টিভ রজার্স নামের একজন দুর্বল কিন্তু সাহসী যুবককে “Super Soldier Serum” দিয়ে সুপার-সোলজার বানানো হয়। এরপর তিনি ক্যাপ্টেন আমেরিকা রূপে রেড স্কাল ও হাইড্রার বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
২. Captain America: The Winter Soldier (2014)
পরিচালক: অ্যান্থনি রুসো ও জো রুসো
কাহিনি: আধুনিক যুগে ক্যাপ্টেন আমেরিকা (স্টিভ রজার্স) শিল্ডের (S.H.I.E.L.D.) দুর্নীতির সাথে লড়াই করেন এবং তার পুরনো বন্ধু বাকিকে “উইন্টার সোলজার” রূপে আবিষ্কার করেন। এই সিনেমাটি থ্রিলার ও অ্যাকশনের জন্য বিখ্যাত।
৩. Captain America: Civil War (2016)
পরিচালক: অ্যান্থনি রুসো ও জো রুসো
কাহিনি: অ্যাভেঞ্জার্সের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় যখন সরকারের পক্ষ থেকে সুপারহিরোদের রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম জারি করা হয়। স্টিভ রজার্স (ক্যাপ্টেন আমেরিকা) এবং টনি স্টার্ক (আয়রন ম্যান) দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এটি মার্ভেল ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা।
অন্যান্য সিনেমায় উপস্থিতি
ক্যাপ্টেন আমেরিকা আরও অনেক MCU সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যেমন:

The Avengers (2012)
Avengers: Age of Ultron (2015)
Avengers: Infinity War (2018)
Avengers: Endgame (2019)
এছাড়াও, Avengers: Endgame-এ ক্যাপ্টেন আমেরিকার চরিত্রটি একটি চমৎকার পরিণতি পায় যেখানে স্টিভ রজার্স তার ঢাল তুলে নতুন প্রজন্মের কাছে ক্যাপ্টেন আমেরিকার ঐতিহ্য তুলে দেন।

সোর্স চ্যাট জিপিটি, ইন্টারনেট

December 17, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

ঢাকা কনসার্টে গাইবেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান

by মাহবুব সজল December 15, 2024
written by মাহবুব সজল

ঢাকা কনসার্টে গাইবেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে কনসার্ট। আগেই জানানো হয়েছিল, ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শিরোনামের এই দাতব্য কনসার্টে গাইবেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।

রাহাত ফতেহ আলী খান একজন প্রখ্যাত পাকিস্তানি গায়ক। তিনি মূলত কাওয়ালি, সুফি সংগীত এবং আধুনিক প্লেব্যাক গানে দক্ষ। তিনি বিখ্যাত সংগীতশিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাতিজা এবং তাঁর কাছেই কাওয়ালি শেখেন।

রাহাত ফতেহ আলী খানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  1. জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৯৭৪, ফয়সালাবাদ, পাকিস্তান।
  2. ধারা: কাওয়ালি, সুফি, গজল এবং বলিউড প্লেব্যাক গান।
  3. বিখ্যাত গানসমূহ:
    • “তুমসে মিলকে” (বলিউড)
    • “অরিজিৎ সা” (পাকিস্তানি গজল)
    • “তুম হি হো” (ভারতীয় সিনেমা)
  4. পুরস্কার: তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, বিশেষত ভারত ও পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জগতের জন্য।

রাহাত ফতেহ আলী খান তার গভীর কণ্ঠস্বরে এবং আবেগপূর্ণ গানের জন্য সারা বিশ্বে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছেন।

 

 

আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আয়োজক ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্লাটফর্ম। তাদের এই আয়োজনের জন্য ভেন্যু ভাড়া মওকুফ করেছে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।

 

ফলে কনসার্ট থেকে আয়কৃত যে পরিমাণ অর্থ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদানের আশা করেছিল, ভেন্যু ভাড়া মওকুফ হওয়ায় তার চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করতে পারবে জানিয়েছেন ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্লাটফর্ম। এর সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা মনে করেছেন, তাদের উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও বিশাল কন্ট্রিবিউশান যুক্ত হলো, যা ভবিষ্যতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

 

এদিকে, আলোচিত এই কনসার্টের টিকিট অনলাইনে শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে আয়োজক প্ল্যাটফর্ম ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’। অনলাইন টিকিট প্ল্যাটফর্ম গেট সেট রকে ‘https://getsetrock.com/’ সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত।

 

ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখা যায়, এই কনসার্টের ভিআইপি টিকিটের মূল্য ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও দুটি ক্যাটাগরির টিকিট ছাড়া হয়েছে। এরমধ্যে ফ্রন্ট রো ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং জেনারেল টিকিট ২৫০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

এ ছাড়া একই দিনে কনসার্টের ফাইনাল লাইন আপ ঘোষণা করা হয়েছে। রাহাত ফাতেহ আলী ছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ, র‌্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান, হান্নান ও সিলসিলিা গান পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক হবে।

সোর্স-ইন্টারনেট

December 15, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

বলিউডে টিকে থাকার কৌশল-নোরা ফাতেহি

by মাহবুব সজল December 14, 2024
written by মাহবুব সজল

বলিউডে টিকে থাকার কৌশল-নোরা ফাতেহি

 

বলিউডের ‘আইটেম গার্ল’ নোরা ফাতেহি।বরাবরই তিনি নিজের স্ট্রাগল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হন না। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।তিনি আসলে অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন।তবে নাচের জন্যই সিনেদুনিয়ায় এক পোক্ত জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন নোরা।

 

নোরা ফাতেহি হলেন একজন জনপ্রিয় কানাডিয়ান-মরক্কান অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী এবং গায়িকা, যিনি মূলত বলিউডে তার নাচের জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৯২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কানাডার মন্ট্রিয়েলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরক্কান এবং মা ভারতীয়, তাই তার একটি সাংস্কৃতিক মিশ্রণ রয়েছে যা তার কর্মজীবনে প্রভাব ফেলেছে।

নোরা ফাতেহি বলিউডে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০১৪ সালে “রোটন” সিনেমার মাধ্যমে, তবে তিনি সবার নজরে আসেন ২০১৫ সালের হিট গান “বেবি ডল” এর জন্য, যেখানে তার নাচ দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর তিনি “সোহনি-ধিনচাক” (২০১৬), “স্বাগতাম” (২০১৮), “এক তু আরি” (২০১৯) সহ বেশ কিছু সঙ্গীত ভিডিও এবং সিনেমায় তার নাচের জন্য প্রশংসা পান।

তিনি “ডান্স+” এবং **”জাব উই মেট”**সহ বিভিন্ন টিভি রিয়ালিটি শোতে বিচারক হিসেবেও অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার চমৎকার নাচের দক্ষতা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। নোরা ফাতেহির নাচের শৈলী প্রধানত বলিউড ডান্স, আইটেম নাম্বার এবং হিপ-হপ সংমিশ্রণ। তিনি তার সাহসী, স্লিম এবং অত্যন্ত পরিশীলিত পরিবেশনার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

নোরা ফাতেহি একাধিক হিট গানে অংশগ্রহণ করেছেন, যেমন “হুমা” (২০১৮), “ডিলবার” (২০১৮), “সাকি সাকি” (২০১৯), “গরমি” (২০২০)। তার নাচের ক্যাচি স্টাইল এবং শক্তিশালী উপস্থিতি তাকে ভারতের অন্যতম সফল আইটেম গার্ল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়াও, তিনি সামাজিক মাধ্যমে বিশাল ফ্যান ফলোয়ারশিপ অর্জন করেছেন।

নোরা ফাতেহি মূলত তার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে বলিউডের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তার স্থান তৈরি করেছেন এবং অনেক তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

 

তিনি নিজের শতভাগ উজার করে দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন রাতারাতি। তবে বলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার অনেক কৌশলের কথাই এবার ফাঁস করেছেন নোরা।অভিনেত্রীর পিআর টিম নাকি তাকে জানিয়েছিল, তিনি যেন কোনো বড় অভিনেতাকে ডেট করেন। তাহলেই বলিউডে ভালো কাজের প্রস্তাব পাওয়া যায়।

 

নোরা ফাতেহি প্রথম থেকেই নিজের কাজ নিয়ে অনেক যত্নশীল। যদিও কটাক্ষ সহ্য করতে শিখে গেছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি নোরা ফাতেহি বলেন, ‘বলিউডে টিকে থাকতে গায়ের চামড়া মোটা করে নিয়েছি। এখন যে যাই বলেন, আমার গায়ে খুব একটা লাগে না।’

 

কখনও প্ল্যাস্টিক সার্জারি, কখনও আবার বোল্ড লুক, আর আবেদনময়ী নাচ- সব মিলিয়ে তাকে ভাইরাল হতে হয়েছে একাধিকবার। ট্রোলের শিকারও হয়েছেন। তবে বলিউডের অন্দরমহলের সম্পর্কের এই সমীকরণ নিয়ে মন্তব্য করতেই তিনি আবার ভাইরাল হলেন।নোরার ওই মন্তব্যে ইঙ্গিত ছিল, তিনি বলিউডের অন্দরমহলের অধিকাংশ সম্পর্ককেই ফেক বলতে চেয়েছেন।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বলিউডে পা রাখেন নোরা ফাতেহি। এক দশকের ক্যারিয়ারে তিনি নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রথম উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ২০১৫ সালে ‘রোত্তে হুয়ে আদমি’ সিনেমায়। এরপর ২০১৮ সালে দিলবার গানে নেচে বেশ জনপ্রিয়তা পান নোরা।

সোর্স-ইন্টারনেট

December 14, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

কী করে বলব তোমায় সিরিয়ালের পায়েল সেন (মানসী সেনগুপ্ত) অন্তঃসত্ত্বা

by মাহবুব সজল December 14, 2024
written by মাহবুব সজল

 

কী করে বলব তোমায় সিরিয়ালের পায়েল সেন অন্তঃসত্ত্বা

 

‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিক থেকে সরে গেলেন বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী অন্তঃসত্ত্বা মানসী সেনগুপ্ত। হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সির কারণে  ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু থেকেও দূরে সরে গেছেন তিনি।

জানা যাচ্ছে, আপাতত আর কোনো মেগাতেই দেখা যাবে না তাকে। তবে মা হওয়ার এক মাসের মধ্যেই আবার কাজে ফিরবেন মানসী। আসলে অভিনেত্রীকে আগেই তার ডাক্তার জানিয়েছিলেন— তার হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সি। তবে সব সাবধানতা নিয়েই শুটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

 

কাজ-পাগল মানসীকে এ নিয়ে মশকরা করে বলতে শোনা গিয়েছিল— তার ইচ্ছে ছিল সোজা সেট থেকে হাসপাতালে পৌঁছবেন। তবে অসুস্থতায় আর তা হচ্ছে না।

 

আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন। তাই সহসাই শুটিং সেটে ফিরবেন না তিনি। কদিন আগেই অভিনেত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে। সে কারণে বর্তমানে প্রচারচলতি দুটি ধারাবাহিকে কাজ করছেন তিনি। নিম ফুলের মধুর পাশাপাশি সদ্য যোগ দেন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ টিমে।

 

এদিকে হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সি থাকায় সপ্তাহখানেক আগেই শুটিং ফ্লোর থেকে সোজা হাসপাতালে ছুটতে হয়েছিল তাকে। সেখান থেকে আপাতত নিজের বাড়িতেই পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন মানসী।

 

ইতোমধ্যে কেটে গেছে প্রেগন্যান্সির ছয় মাস। সন্তান প্রসবের আগে সেটে কি ফিরবেন আর? কারণ অনেক দিন ধরেই নিম ফুলের মধু থেকে গায়েব মানসীর চরিত্র ‘মৌমিতা’। আর ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’-তে মানসী অভিনীত চরিত্র ‘অহনা’কেও জেলে পাঠানো হয়েছে। তা হলে কি আর সেটে ফিরছেন না মানসী?

 

জানা যাচ্ছে, আপাতত আর কোনো মেগাতেই দেখা যাবে না তাকে। তবে মা হওয়ার এক মাসের মধ্যেই আবার কাজে ফিরবেন মানসী। আসলে অভিনেত্রীকে আগেই তার ডাক্তার জানিয়েছিলেন— তার হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সি। তবে সব সাবধানতা নিয়েই শুটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

 

কাজ-পাগল মানসীকে এ নিয়ে মশকরা করে বলতে শোনা গিয়েছিল— তার ইচ্ছে ছিল সোজা সেট থেকে হাসপাতালে পৌঁছবেন। তবে অসুস্থতায় আর তা হচ্ছে না।

 

কদিন আগে এই দুটি ছবি শেয়ার করে মা হতে চলার খবর শেয়ার করে নিয়েছিলেন মানসী সেনগুপ্ত। সেই প্রথম বেবিবাম্পে তিনি আসেন সামনে। যদিও ক্যাপশনে সেভাবে কিছুই লেখেননি, ছিল ইভিল আই, হার্ট ও হাত জোড় করার ইমোটিকন। এর কিছু দিন পরেই হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। সেই সময় লাইভে এসে জানান, শুটিং ফ্লোর থেকে সোজা হাসপাতাল। এটা প্রেগন্যান্সির অংশ, ঠিক আছে। এটা নিয়ে চিন্তিত অবশ্যই, তবে ভাবতে চাইছি না। কারণ আমার আরও প্যালপিটেশন হচ্ছে।

কয়েক বছর আগেও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে রটেছিল— মানসী আর তার স্বামীর বিচ্ছেদের খবর। এমনকি তার আভাস দিয়েছিলেন তিনি নিজেই দিদি নম্বর ১ শোতে এসে। সেই সময় শুটের জন্য মানসী ছিলেন মুম্বাইতে। অভিনেত্রীর দাবি ছিল, দূরত্বই নাকি তার সংসার ভাঙার কারণ।

 

মানসীর এটি দ্বিতীয় সন্তান আসছে। এক কন্যাসন্তানের মা তিনি। প্রথমবারের মতো হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি ছিল তার। এমনকি প্রি ম্যাচিওর কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি সেই সময়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে রিল হোক বা মজার মজার মুহূর্ত হামেশই শেয়ার করে নেন তিনি। সুপার হিট মা মেয়ের জুটি।

 

সেই সময় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ১-এ এসে মানসী জানান, ‘স্বামীর প্রতি টান অনুভব করি না’। মুম্বাইতে তাকে দেখা যায় বান্নি চাও হোম ডেলিভারিতে, যা ছিল বাংলার খুকুমণি হোম ডেলিভারির রিমেক। কাজ করেন মো সে ছল কিয়া যায়ে নামে একটি ধারাবাহিকেও।

 

এই দুটি ধারাবাহিকে কাজ করার সময় মেয়েকে নিজের বোনেদের কাছেই রেখে গিয়েছিলেন তিনি। আপাতত মনে করা হচ্ছে, মানসী কলকাতায় ফিরে আসতেই, জোড়া লাগে ভাঙা সম্পর্ক। তবে বিবাহিত জীবন নিয়ে আর কখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে।

 

নিম ফুলের মধুতে কাজ করার আগে ‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের খলনায়িকা পায়েল সেনের চরিত্রে দেখা যায় মানসীকে। কাজ করেছেন কাটাকুটি নামে একটি ওয়েব সিরিজেও।

সোর্স- ইন্টারনেট

December 14, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

জয়া আহসান এপার-ওপার দুই বাংলারই জনপ্রিয়

by মাহবুব সজল December 14, 2024
written by মাহবুব সজল

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান এপার-ওপার দুই বাংলারই জনপ্রিয়।

চলতি মাসের শুরুতে মুম্বাইয়ে ফিল্মফেয়ারের ওটিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়া। সেখানে জামদানিতে আলো ছড়ান। সেখানেই একদম অন্যভাবে জামদানি শাড়ি পরে বিতর্কে জয়া।  জয়াকে এই জামদানি শাড়ি একেবারে ব্যতিক্রমী স্টাইলে পরতে দেখা গিয়েছিল।

কয়েক বছর ধরে দেশের তুলনায় ভারতের সিনেমাতে বেশি দেখা গেছে জয়াকে। তাই তার ভক্তদের অনেকেই মনে করেন, নিজ দেশের চেয়ে পাশের দেশে বেশি সময় দেন তিনি।

কিন্তু জয়া জানালেন ভিন্ন কথা। শুধু প্রয়োজন ছাড়া ভারতে থাকেন না তিনি। জয়া বলেন, ‘শুটিং থাকলে কলকাতা যাওয়া হয়। আউটডোর ‍শুটিংয়ে অন্যরা যেভাবে বাইরে যান, আমিও কলকাতায় কাজ থাকলে সেভাবে যাই। কাজ শেষে আবার ঢাকায় ফিরে আসি। কিন্তু অনেকে ভাবে, আমি বেশিরভাগ সময় সেখানে থাকি। সেদিন সীতাকুণ্ডে শুটিংয়ে গিয়েছিলাম, তারা ভেবেছে আমি ভারতে।’

জয়া আহসান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি বিশেষভাবে টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ নাটকে তার অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৮৩ সালের ১ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, তবে বাংলাদেশের একটি শহরের বাসিন্দা। তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং দিয়ে, কিন্তু তিনি দ্রুত অভিনেত্রী হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।

জয়া আহসান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে এক নতুন ধারার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের সিনেমা জগতেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন। তার অভিনীত কিছু বিখ্যাত সিনেমার মধ্যে রয়েছে “গেরিলা” (২০১১), “ঊর্ধ্বতন” (২০১৫), “পোস্ত” (২০১৭), “রেড” (২০২১) ইত্যাদি।

জয়া তাঁর অনন্য অভিনয় শৈলীর জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। বিশেষ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার তিনি অর্জন করেছেন। তার অভিনয় ক্ষমতা, চেহারা এবং চরিত্রের গভীরতা তাকে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।

জয়া আহসান কেবল অভিনয়েই নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ আলোচিত। তিনি একজন প্রাঞ্জল, অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রায়ই সামাজিক ও মানবিক বিষয়েও কথা বলেন এবং তার কাজের মাধ্যমে সমাজের নানা সমস্যার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করেন।

 

বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেই বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছেন তিনি। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে তার ‘ওসিডি’ সিনেমাটি। দেশে মুক্তির তালিকায় আছে ‘নকশী কাঁথার জমিন’, ‘জয়া আর শারমিন’, ‘ফেরেশতে’ সিনেমাগুলো।

সোর্স-এআই

December 14, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

‘পুষ্পা-২’ ছবির আয় ৮০০ কোটিরও বেশি, puspa 2

by মাহবুব সজল December 9, 2024
written by মাহবুব সজল

‘পুষ্পা-২’ ছবির আয় ৮০০ কোটিরও বেশি

 

অমিত ভাটিয়া, মুম্বই: ‘পহেলি এন্ট্রি পর ইতনা বাওয়াল নহি করতা, জিতনা দুসরি এন্ট্রি পর করতা হ্যায়’- এই সংলাপ পুষ্পা ২ ছবিরই, আর ঠিক তেমনই এই সিনেমাও। প্রথম বারের তুলনায় দ্বিতীয় ছবি আরও আকর্ষণীয়। এর আগে বলা হয়েছিল ‘পুষ্পা ফ্লাওয়ার নেহি ফায়ার থা’। আর এবার অল্লু অর্জুনের ডায়লগ ‘ম্যায় ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার হুঁ’। এই সংলাপ যে ঠিক কতটা সত্যি তার উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে পুষ্পা ২- দ্য রুল ছবির পরতে পরতে। আক্ষরিক অর্থেই পুষ্পা এবার ‘ওয়াইল্ড ফায়ার’। এই সিনেমার সমস্তটা জুড়ে রয়েছে শুধুই একটা জিনিস। আর তা হল এন্টারটেনমেন্ট, এন্টারটেনমেন্ট এবং এন্টারটেনমেন্ট। বিনোদনে ভরপুর এই সিনেমা দেখতে বসলে কিন্তু যুক্তি খুঁজলে চলবে না। বরং নিজের মস্তিষ্ক পুষ্পার ‘ওয়াইল্ড ফায়ার’- এর মধ্যে রেখে দিন। ভয় বা চিন্তা কোনওটাই করার দরকার নেই। কারণ পুষ্পা আপনার বিনোদনের সব খেয়াল রাখবেন। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ছবি দেখার পর আপনার মাথা, মন-মেজাজ থাকবে একদম চাঙ্গা। যুক্তি না খুঁজে শুধু বিনোদন পেতেই যান এই সিনেমা দেখতে। আর যে ছবি এই দীর্ঘ সময় বিনা যুক্তিতে আপনাকে ভরপুর বিনোদন দেবে, সেই সিনেমা নিঃসন্দেহে সেরা। আর এই রকম সিনেমা ভালভাবে ব্যবসা করবে এমনটাই কাম্য।

 

পুষ্পা ২- দ্য রুল ছবির গল্প

এই ছবিতে পুষ্পা লাল চন্দনের বিশাল বড় স্মাগলার। চন্দন ব্যবসার সিন্ডিকেটের প্রধানও এই পুষ্পাই। কিন্তু মানুষ যত সফল হল, ততই বাড়ে তাঁর শত্রুর সংখ্যা। বাস্তবে জীবনে একথা যেমন ধ্রুব সত্য, তেমনই দেখা গিয়েছে ছবিতেও। পুষ্পা-র সিক্যুয়েলে মিঞা-বিবি মানে রশ্মিকা মান্দানা এবং অল্লু অর্জুনের অন-স্ক্রিন রসায়ন কিন্তু বেশ ভালভাবেই চাক্ষুষ করতে পারবেন দর্শকরা। বউয়ের সমস্ত কথা মেনে চলে পুষ্পা। সিনেমার গল্পে রশ্মিকা তাঁর স্বামী পুষ্পাকে বলে যখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবে তখন যেন ছবি তুলে নেয়। এদিকে একজন স্মাগলারের সঙ্গে মোটেই ছবি তুলতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই চটে গিয়ে একবারে মুখ্যমন্ত্রী বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করে পুষ্পা। এর জন্যই ৫০০০ কোটি টাকার লাল চন্দন বিদেশে পাচার করতে হবে পুষ্পাকে। এ কাজে আদৌ কি সে সফল হবে, কী হবে, আর পুষ্পার সবচেয়ে বড় শত্রু পুলিশ অফিসার ভানওয়ার সিং শেখাওয়াত কী করবেন, এই সবকিছু জানতে হলে যেতে হবে সিনেমা হলে। পুষ্পা ২- দ্য রুল ছবি সিলভার স্ক্রিনে দেখে মজা পাবেন আপনি।

 

কেমন হয়েছে এই ছবি

‘মাস এন্টারটেনমেন্ট’ বলতে যা বোঝায় পুষ্পা ২- দ্য রুল একেবারেই সেই ঘরানার ছবি। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যে রয়েছে ভরপুর এন্টারটেনমেন্ট। এই ছবি দেখতে বসলে যুক্তি মাথায় আসবে না আপনার, পুষ্পাকে যা করতে দেখবেন সবই বিশ্বাস হয়ে যাবে। একটার পর একটা দৃশ্য তাক লাগিয়ে দেবে। হলে সিটি, তালি সবই বাজবে নিঃসন্দেহে। পুষ্পার চরিত্রও ভারী অদ্ভুত। সে সহজেই ‘সরি’ বলে দেয়। এদিকে তার জীবনের মূলমন্ত্র হল ‘ঝুকেগা নেহি’। তাই ‘সরি’ বলার পরেও গোটা ছবি জুড়ে পুষ্পা যা যা করেছে তার জন্য একটাই কথা প্রযোজ্য, ‘বাওয়াল হয়েছে’। সিনেমা হলে দর্শক টানার সমস্ত মশলা রয়েছে এই ছবিতে। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট, অনেকটা দীর্ঘ সময়ের ছবি, কিন্তু তাও বিরক্তি লাগবে না। বরং মনে হবে আরও কিছু দেখতে পেলেও বেশ লাগত, মন্দ হতো না। কিছু সিনেমা থাকে যা সিনেমা হলে গিয়েই দেখার জন্য আদর্শ। পুষ্পা ২- দ্য রুল ছবিটিও একদম তাই।

 

অভিনয়

ছবির মূল চরিত্র পুষ্পা সত্যিই অনন্য-অসাধারণ। অল্লু অর্জুনের অভিনয় আপনাকে বিশ্বাস করিয়ে দেবে যে রুপোলি পর্দায় আপনি যা দেখছেন সেগুলো বাস্তবে সম্ভব এবং পুষ্পা সত্যিই সেগুলো করতে পারে। এমনিতেই অল্লু অর্জুনের স্টাইল নিয়ে কিছু বলার নেই। আর পুষ্পা চরিত্রে যে ম্যানারিজম, সোয়াগ তিনি এই ছবিতে দেখিয়েছেন সেটাই আপনাকে মুগ্ধ করবে। সমস্ত দৃশ্য জুড়ে রয়েছেন শুধুই পুষ্পা, অল্লু অর্জুন। ৫ বছর ধরে যে মেহনত তিনি করেছেন, তা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে এই সিনেমায়। সিলভার স্ক্রিনে হিরোগিরি করার একটা আলাদা মাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন অল্লু অর্জুন। তাঁকে টেক্কা দিতে চাইলে অন্য নায়কদের কিন্তু সাংঘাতিক কিছুই করতে হবে রুপোলি পর্দায়।

 

তবে শুধু অল্লু অর্জুন নন, রশ্মিকা মান্দানার অভিনয়ও এই ছবিতে নজর কেড়ে নেবে আপনার। অল্লু অর্জুনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সামনে একটুও ফিকে লাগবে না রশ্মিকার অভিনয়। আর এই সঙ্গেই বলতে হবে আরও একটি নাম, ফাহাদ ফসিল। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাহাদ। হিরো পুষ্পার সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছেন ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করা মালয়ালম অভিনেতা ফাহাদ ফসিল। এছাড়াও জগদীশ প্রতাপ ভাণ্ডারী, জগপতি বাবু, সৌরভ সচদেব সকলের অভিনয়ই প্রশংসনীয়।

 

পরিচালনা এবং লেখনী

পুষ্পা ২- দ্য রুল সিনেমায় সুকুমারের লেখনী এবং পরিচালনা, দুটোই সমান প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে। এন্টারটেনমেন্ট এবং সোয়াগ- এই দুইয়ের উপর নির্ভর করেই ছবি তৈরি করেছেন তিনি। যা তৈরি করতে চেয়েছিলেন সেটাই নির্মাণ করেছেন। লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি। আর এটাই সুকুমারের সাফল্য। একটার পর একটা তাক লাগানো দৃশ্য রয়েছে এই ছবিতে। একটা দেখে ঘোর কাটার আগেই চোখের সামনে থাকবে আরও একটা ব্লকবাস্টার সিন।

 

সঙ্গীত

পুষ্পা ২- দ্য রুল ছবির যদি কোনও খামতি থাকে তা হল এই ছবির গান। ‘সামি’ গানটি ছাড়া বাকি কোনও গানই সহ্য করা যায় না। তবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বেশ ভাল। তবে সব মিলিয়ে বছর শেষে এই ছবি সিনেমা হলে গিয়ে দেখাই যায়, ভরপুর বিনোদন পাবেন আপনি।

রেটিং- ৪ স্টার

Puspa 2

চার দিনেই ‘পুষ্পা-২’ ছবির আয় ৮০০ কোটিরও বেশি

ভারতজুড়ে সিনেমাপ্রেমীরা এখন ‘পুষ্পা-২’ ছবির মুগ্ধতায় ডুবে আছেন। আল্লু অর্জুন, রাশমিকা মান্দানা অভিনীত এ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ৫ ডিসেম্বর। এটি শুরু থেকেই আয়ের রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে।

 

সুকুমার পরিচালিত ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ভারতীয় বক্স অফিসে মাত্র ৪ দিনে ৫০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী এর আয় ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। স্যাকনিল্ক ডটকমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৪ ডিসেম্বর পেইড প্রিমিয়ারে ১০.৬৫ কোটি রুপি আয় করে ‘পুষ্পা ২’। এরপর মুক্তির প্রথম দিনে ১৬৪.২৫ কোটি, শুক্রবার ৯৩.৮ কোটি এবং শনিবার ১১৯.২৫ কোটি রুপি আয় করে।

 

রোববার মুক্তির চতুর্থ দিনে ভারতে ১৪১.৫০ কোটি রুপি আয় করেছে ছবিটি। ফলে প্রথম সপ্তাহান্তে ‘পুষ্পা ২’র কালেকশন পৌঁছে গেল ৫২৯.৫০ কোটির ক্লাবে।

Puspa 2 movie

মুক্তির পর থেকেই একের পর এক বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে চলেছে ‘পুষ্পা ২’। প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি রুপি আয় করা ভারতীয় ছবির তকমা আগেই লেগেছে আল্লুর ছবির পাশে। এটি একই দিনে দুটি ভাষায় ৫০ কোটি রুপির বেশি আয় করা প্রথম চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে।

 

মাত্র ৩ দিনে দ্রুততম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে বিশ্বব্যাপী ৬০০ কোটি রুপি আয়ের রেকর্ড গড়েছে ছবিটি। এবার প্রথম সপ্তাহেই দেশের বাজারে ৫০০ কোটির গণ্ডি ছাপিয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়লো এই ছবি। সেইসঙ্গে চারদিনে বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে ৮০০ কোটির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলা ভারতীয় ছবিও ‘পুষ্পা ২’।

December 9, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Life Style

“মোয়ানা ২” পাঁচদিনেই আয় ৩৮৬ মিলিয়ন ডলার!

by মাহবুব সজল December 8, 2024
written by মাহবুব সজল

“মোয়ানা ২” পাঁচদিনেই আয় ৩৮৬ মিলিয়ন ডলার!

প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও এ যেন ম্যাজিক। বিশ্বজুড়ে মুক্তির পাঁচ দিনেই ৩৮৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন ডিজনি’র নতুন অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘মোয়ানা ২’। যা বর্তমান বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি!

এই আয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে ১৬৫.৩ মিলিয়ন ডলার।

৩৮৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে বছরের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওপেনিং দেয়া সিনেমা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ‘মোয়ানা ২’। এ তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’। ছবিটি ৪৩৮ মিলিয়ন ডলার।

২০১৬ সালের হিট হওয়া ‘মোয়ানা’ সিনেমার সিক্যুয়েলটি উত্তর আমেরিকায় গেল বুধবার জনপ্রিয় মার্কিন এবং কানাডিয়ান উৎসব থ্যাংকসগিভিংয়ের আগের দিন মুক্তি পেয়েছিল। পাঁচ দিনে ‘মোয়ানা ২’ সেখানে ২২১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা থ্যাংকসগিভিং বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এটি ‘ফ্রোজেন ২’ সিনেমার পূর্ববর্তী রেকর্ড ১২৫ মিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
তথ্য-এলএ/জেআইএম

‘মোয়ানা ২’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন ডান হালস্টেড। এতে ‘মোয়ানা’ সিনেমার পরবর্তী গল্প দেখানো হয়েছে। যেখানে মোয়ানা এবং তার বন্ধু মাওই একটি নতুন অ্যাডভেঞ্চারে বের হয়। তারা মহাসাগরের গভীরে একটি লুকানো দ্বীপ খুঁজে বের করে। একটি পুরনো অভিশাপ ভেঙে দিতে যাত্রা করে। ছবির মধ্যে আছে বন্ধুত্ব, সাহস এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার বার্তা।

মোয়ানা ২ সম্পর্কে একজন দর্শকের মন্তব্য –

“একজন সামোয়ান পুরুষ হিসেবে, “মোয়ানা ২” দেখা শুধুমাত্র বিনোদন ছিল না—এটি ছিল ঘরে ফিরে আসার মতো। এই সিনেমাটি পলিনেশীয় সংস্কৃতির প্রতি একটি ভালোবাসার চিঠি, এবং আমার লোকজন ও আমাদের গল্পগুলি যে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, আমি তার জন্য গর্বিত। সাহস ও পরিবার নিয়ে যে থিমগুলি ছিল, সেইসাথে আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি যে সম্মান দেখানো হয়েছে, এই সিনেমাটি প্রতিটি নোট নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে।

মোয়ানা এবং তার ছোট বোন সিমেয়ার সম্পর্ক সিনেমাটির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সম্পর্কটি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল যে আমাদের সংস্কৃতিতে আমরা পরিবারকে কত গভীরভাবে মূল্যায়ন করি—এটি শুধুমাত্র এমন কিছু নয় যা আমরা বলি; এটি একটি জীবনধারা। আউলিʻi ক্রাভালহো এবং খালিসি লাম্বার্ট-টসুদা সেই চরিত্রগুলোকে এত বাস্তব এবং সম্পর্কযোগ্যভাবে জীবন্ত করেছেন, বিশেষ করে আমাদের মতো যারা ঘনিষ্ঠ পরিবার দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে বড় হয়েছি। সিমেয়ার নিষ্পাপত্বা এবং তার বোনের প্রতি ভালোবাসা আমাকে আবেগপ্রবণ করে তুলেছিল, কোন সন্দেহ নেই।

দৃশ্যত, সিনেমাটি একটি মাস্টারপিস ছিল। মহাসাগর এবং দ্বীপগুলো এত যত্নের সাথে অ্যানিমেট করা দেখে মনে হচ্ছিল আমি আবার বাড়ি ফিরেছি। বিস্তারিত—সিয়াপো প্যাটার্ন, টাটু (তাতু), তাপা কাপড়—সবকিছুই আ Authentic ছিল এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিকে এমনভাবে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সাধারণত দেখা যায় না, এবং রক ও তার দল এটি সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য। এটি আরেকটি সাধারণ অ্যানিমেটেড সিনেমা ছিল না; এটি পলিনেশীয় ঐতিহ্যের গর্ব ও শক্তির মধ্যে মূলে আবদ্ধ একটি গল্প ছিল।

অবশ্যই, ডোয়েন “দ্য রক” জনসন আবারও মৌই চরিত্রে একদম নিখুঁত অভিনয় করেছেন। একজন সামোয়ান হিসেবে, আমি প্রকাশ করতে পারি না কিভাবে আমি গর্বিত যে তিনি আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমনভাবে যা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তার অভিনয় ছিল অত্যন্ত বাস্তব, শুধু মৌইর হাস্যরস এবং আকর্ষণই নয়, পলিনেশীয় পুরাণের গভীর দিকও তুলে ধরেছে। এই সিক্যুয়েলে মৌইর ভূমিকা অনেক বেশি হৃদয়গ্রাহী ছিল, বিশেষত যখন তিনি মোয়ানাকে শক্তি এবং নম্রতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে দায়িত্বশীলতার কথা শেয়ার করেছিলেন।

সঙ্গীত মোটামুটি শক্তিশালী ছিল, বিশেষত ফিলিপিনো গানের অন্তর্ভুক্তি শেষের দিকে একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত ছিল। যদিও আমি লিন-মানুয়েল মিরান্ডার প্রভাব মিস করেছি, নতুন গানগুলির নিজস্ব মুহূর্ত ছিল। নিশ্চিতভাবে, প্রতিটি ট্র্যাক “ইউ’র ওয়েলকাম” এর মতো তাত্ক্ষণিকভাবে আইকনিক ছিল না, তবে তারা গল্পের আবেগমূলক ভার বহন করেছে, এবং আমি জানি যে সময়ের সাথে সাথে তা মানুষের মনে বসে যাবে।

কিছু লোক বলেছে সিনেমাটি প্রথমার্ধে একটু ধীর ছিল, এবং আমি সেটা বুঝি। তবে আমার জন্য, সেই মুহূর্তগুলো গল্পটিকে নিঃশ্বাস নিতে দিয়েছিল। এটি নিরন্তর অ্যাকশনের ব্যাপার ছিল না—এটি ছিল সংযোগ, ইতিহাস, এবং পরিচয়ের কথা। যখন মোয়ানার পূর্বপুরুষরা হাজির হয়েছিল, আমি শিহরিত হয়েছিলাম। এটি পলিনেশীয় হিসেবে আমাদের পরিচয়ের একটি শক্তিশালী স্মরণ ছিল: আমাদের অতীতের জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত, তবে আগামীর পথ তৈরি করতে।

এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে যে সিনেমার শেষে কোন বড় “বস ফাইট” নেই, এবং যদিও আমি বুঝি, তাতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। আবেগিক যাত্রাই আসল ক্লাইম্যাক্স ছিল, এবং এটি নিজেই সন্তোষজনক ছিল। তাছাড়া, মোয়ানা ৩ এর কাজ চলছে, আমি উচ্ছ্বসিত যে তারা গল্পটি কোথায় নিয়ে যাবে।

যারা ভাবছেন সিনেমাটি দেখতে হবে কিনা, তাদের জন্য কোন দ্বিধা নেই। এই সিনেমা শুধু একটি সিক্যুয়েল নয়; এটি পলিনেশীয় পরিচয়ের একটি উদযাপন, একটি দৃশ্যমান এবং আবেগিক মাস্টারপিস যা আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে একটি সার্বজনীনভাবে সম্পর্কযোগ্য গল্প বলছে। “মোয়ানা ২” দেখা ছিল আমার নিজের মানুষদের দীপ্তি দেখতে পাওয়া, এবং এটি এমন কিছু যা আমি কখনোই ভুলব না।

এটি আমার কাছে ১০/১০। একটি হৃদয়, আত্মা এবং গর্বে ভরা চলচ্চিত্র যা আমাদের পলিনেশীয় হিসেবে কে আমরা তা তুলে ধরে। ধন্যবাদ, সিয়ুলি মাইভিয়া জুনিয়র এবং আপনার দল, আমাদের গল্পটি সন্মান ও সৌন্দর্য নিয়ে বলার জন্য। ফা’আফেতাই টেলি লাভা! “

December 8, 2024 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
EducationLife Style

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই, Birth regi check 2024, Birth certificate check online 2024,

by মাহবুব সজল January 2, 2024
written by মাহবুব সজল

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার নতুন নিয়ম ২০২৪,

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার জন্য আপনাকে নিচের লিংকে ক্লিক করতে হবে। এই লিংকে ক্লিক করলে যে উইন্ডোটি আসবে সেখানে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে (জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম সাল) দিয়ে নিচের ক্যাপচাটি পূরন করে সার্চ বাটনটিতে ক্লিক করলে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি অনলাইল হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। এমনকি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় তথ্য আপনি এ সনদ থেকে দেখে নিতে পারবেন। তাই যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করা প্রয়োজন তারা এখান থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট যাচাই করে নিন অথবা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিন।

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই

যাদের জন্ম নিবন্ধন এখনো করা হয় নি তাহারা এই লিংক থেকে নতুন করে আবেদন করে নিতে পারেন। নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন ফরম নিচের লিংকে দেওয়া আছে। কারন জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এখন সবারই প্রয়োজন। আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট না হয়ে থাকলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করে ফরমটি জমা দিন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন। আবেন ফি জমা করুন। আপনার আবেদন সম্পূর্ন করুন। এবং আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়ে যান।

নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন ফরম

আপনার যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ হয়ে থাকে কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত সনদে যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে হবে । জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট সংশোধন এর জন্য আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করুন। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদের সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন

January 2, 2024 0 comments
3 FacebookTwitterPinterestEmail
FeaturedJob-NewsLife Style

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৩, Work permit visa Ireland 2023

by মাহবুব সজল November 21, 2023
written by মাহবুব সজল

 আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট নিউজ ২০২৩

Ireland Work Visa 2023

বাংলাদেশ থেকে বর্তমান সময়ে অনেক লোকজন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গমন করে। তবে এদের অধিকাংশ লোক মালয়েশিয়া ,দুবাই, মালদ্বীপ অথবা সিঙ্গাপুর গেলেও, আমাদের পরিচিত অনেক মানুষ আছেন  যারা কাজ করার জন্য আয়ারল্যান্ড পছন্দ করেন।

 

আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা করার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন ?

কোন কোন Documents গুলো প্রদান করতে হবে?

আয়ারল্যান্ডে ভিসা করার জন্য কত টাকা খরচ হবে ?

আমি এ সমস্ত বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আশাকরি ধৈর্য সহকারে সাথেই থাকবেন। আমি নিম্নের তালিকা মোতাবেক আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

১| বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যাবে কি?
২| কিভাবে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন?
৩| এখানে কোন কোন কাজের চাহিদা সব চেয়ে বেশি?
৪| আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা খরচ হবে?
৫| আয়ারল্যান্ডে কাজের বেতন কেমন ?
৬| ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে?
৭| আয়ারল্যান্ডে Student ভিসার জন্য কত টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে?
৮| আপনি কেনো আয়ারল্যান্ডে যাবেন?
৯| আয়ারল্যান্ডে Student ভিসার জন্য IELTS প্রয়োজন হবে কিনা?

 

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যাবে কি?
আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা? আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের কোনো দূতাবাস না থাকার কারনে আমাদের জন্য এটি একটি সমস্যা। যে কারনে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং এর কাজ  করা সম্ভব নয়। এই সমস্যার কারনে যারা বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান- তাদের কে ভারতের অ্যাম্বাসির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করতে হবে এবং ভারত থেকে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করার পর আপনি আয়ারল্যান্ডে কাজের জন্য ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

২/আপনি কিভাবে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবে?

কিভাবে আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন?

এই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির মাধ্যমে (“ভারত আয়ারল্যান্ড দূতাবাস”) থেকে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি যদি কোনো প্রকার এজেন্সির সাহায্য নিতে না চান। তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে ভারতে যেতে হবে। তারপর আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস আর ভিসা ফি দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনাদের জন্য একটি সুখবর হলো বাংলাদেশীদের এই ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান  করার জন্য আয়ারল্যান্ড সরকার আশ্বাস দিয়েছে। যে তারা খুব দ্রুত আমাদের বাংলাদেশের সাথে ভিসা কার্যক্রম চালু করবে। আর যখন এই কার্যক্রম চালু হবে, তখন আমরা নিজের দেশ থেকেই আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবো।

বিদ্র: আপনি যদি ভারতে অবস্থিত   Irish দূতাবাস  সম্পর্কে সকল প্রকার তথ্য জানতে চান। তাহলে আপনি Online এর মাধ্যমে তাদের সকল প্রকার বিস্তারিত তথ্য গুলো খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।

এখানে কোন কোন কাজের চাহিদা সব চেয়ে বেশি?

প্রতিটি দেশে নির্দিষ্ট কিছু কাজের চাহিদা থাকে। ঠিক একই ভাবে আয়ারল্যান্ডের মধ্যেও এমন অনেক কাজ রয়েছে। যে কাজ গুলোর ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। আমি আপনাদের সুবিধার ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের মধ্যে চাহিদা সম্পন্ন সেই কাজ গুলোর নিচে তালিকা সহকারে দিলাম।

যেমন,

১.ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ

২.ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ

৩.প্রযুক্তি Releted কাজ

৪.পাইপ ফিটিং এর কাজ

৫.এসি মেরামত করার কাজ

৬.বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন এর কাজ

৭.হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ

৮.সাটারিং কার্পেটিং এর কাজ

৯.ড্রাইভিং এর কাজ

মূলত প্রবাসীদের জন্য আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোন কোন কাজ গুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে। সেই কাজ গুলোর নাম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তো আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি আগে থেকেই উপরে উল্লেখিত যে কোন নির্দিষ্ট কাজে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা খরচ হবে?
তবে সেই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের সঠিক ধারণা রাখতে হবে। এবং আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা প্রসেসিং এর খরচ কত হবে, সেটা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে সেই ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তার উপর। কারন যদি আপনি ভারতের মধ্যে অবস্থিত আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে। যদিও বা আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী এই টাকার পরিমাণ কিছু কম অথবা বেশি হতে পারে। অন্যদিকে আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করেন। তাহলে অবশ্যই আপনার আরও বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে। কারণ হলো এজেন্সি মাধ্যম ব্যবহার করে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করলে আপনার ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৭ লক্ষ বা তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হতে পারে।
তাই আপনাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে, আপনি যদি কম খরচে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা পেতে চান। তাবে আপনি অবশ্যই ভারতের মধ্যে থাকা দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করার চেষ্টা করবেন।তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেকটা কম পড়বে।

আয়ারল্যান্ডে কাজের বেতন কেমন ?

যখন আপনি কাজ করার লক্ষ্যে অন্য কোন দেশে যাবেন, তখন অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে, সেই দেশে কাজের বিনিময়ে কত টাকা পারিশ্রমিক (বেতন) পাওয়া সম্ভব। আর যেহেতু আপনি কাজ করার লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডে যেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে, আয়ারল্যান্ডে কাজের পারিশ্রমিক (বেতন) কত টাকা? আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কাজের বেতন কত টাকা হবে, তা মূলত নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজ করছেন সেটর উপর। এর পাশাপাশি আপনার দৈনিক Duty Time কত ? আপনি Full Time কাজ করছেন নাকি Part Time কাজ করছেন? এই বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করে আপনার বেতন নির্ধারণ করবে মালিক পক্ষ। স্বাভাবিক ভাবে আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টার জন্য সর্বনিম্ন ১২ ইউরো থেকে ১৫ ইউরো পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে । যা বাংলাদেশী টাকার হিসাবে প্রতি ঘন্টায় ১৪৫০ থেকে ১৮০০ টাকা। তো আপনি যদি আয়ারল্যান্ডের মধ্যে Full Time হিসেবে কোন কাজ করেন। তাহলে আপনার প্রতি মাসের বেতনের পরিমাণ হবে বাংলাদেশী টাকায় ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এ গুলোর পাশাপাশি যদি আপনার কাজের performance ভালো থাকে, তাহলে আপনি এর থেকেও আরো বেশি বেতন এর সুযোগ নিতে পারবেন। তবে আমি আবারও বলছি যে, আয়ারল্যান্ডে কাজের বেতন কেমন হবে, সেটা মূলত আপনার কাজের ধরন এর উপর নির্ভর করবে।

ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে?
একটা বিষয় আমরা সকলেই বেশ ভালো করে জানি।আর সেই বিষয়টি হলো , যখন আমরা কোনো দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করে থাকি। তখন আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ঠিক একই পদ্ধতিতে যখন আপনি কাজের ভিসার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে যেতে চাইবেন, তখন আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় Document এর দরকার পড়বে। আর সেগুলো হলো,

১.আপনার নিকট একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। আর সেই পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ০৬ মাস হতে হবে।

২.আপনাকে অবশ্যই জাতীয়তা প্রমাণ করতে হবে। সেজন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর কপি দিতে হবে।

৩.এই গুলোর পাশাপাশি আপনার সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি স্ক্যান করে দিতে হবে।

৪.যদি আপনার পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনার সেই কাজের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।

৫.এছাড়াও আপনাকে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর কপি জমা দিতে হবে।

সাধারণত আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসার জন্য প্রাথমিক ভাবে যে সকল Documents প্রদান করতে হয়। সেই Documents গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আপনার কাজ এবং ভিসার ধরন এর উপর ভিত্তি করে আরো অন্যান্য Document এর প্রয়োজন হতে পারে।

আয়ারল্যান্ডে Student ভিসার জন্য কত টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে?

যদিও বা আজকের এই আর্টিকেল টি আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা নিয়ে লেখা হয়েছে। তবে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন। যারা মূলত স্টুডেন্ট ভিসায় আয়ারল্যান্ডে যেতে চায়। আর আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে একটা কথা আপনাকে জেনে রাখতে হবে। আর সেই বিষয়টি হলো, আয়ারল্যান্ডের মধ্যে শিক্ষার্থী ভিসায় যেতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক Account এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেদে  ন্যূনতম 7,000 EURO থেকে 10,000 EURO ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। তবে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ কিছুটা কম অথবা বেশি হতে পারে।

Work permit visa Ireland 2023

আপনি কেনো আয়ারল্যান্ডে যাবেন?

এখন আমাদের অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে, আর সেই প্রশ্নটি হলো- পৃথিবীতে এত দেশ থাকতে আমরা কেনো আয়ারল্যান্ড যাবো? আর আপনার মনেও যদি এই একই ধরনের কোনো প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে একটা কথা বলবো আর সেটি হলো অর্থনৈতিক দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অনেক উন্নত একটি দেশ।  আর এই দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটা উন্নত হওয়ার কারণে যারা এই দেশে গিয়ে কাজ করতে পারে, তারা অনেক উচ্চ পারিশ্রমিক এর সুবিধা ভোগ করতে পারেন। এছাড়াও কাজের দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। তো আপনি যদি প্রবাস জীবনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের চাবিকাঠি বদলাতে চান তাহলে আয়ারল্যান্ড হবে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি দেশ। আর এই কারণ গুলোর জন্যই আপনার আয়ারল্যান্ডে যাওয়া উচিত।

আয়ারল্যান্ডে Student ভিসার জন্য IELTS প্রয়োজন হবে কিনা?

বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলো তে প্রবেশ করার জন্য বাধ্যতামূলক আইইএলটিএস(IELTS) করতে হয়। অন্যদিকে আপনি যদি শিক্ষার্থী ভিসার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড যেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আইইএলটিএস কোর্স বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন পড়বে না।
কারন আয়ারল্যান্ডের মধ্যে এমন অনেক ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে গুলো তে পড়াশুনা করার জন্য আইইএলটিএস এর প্রয়োজন হয় না। তবে আয়ারল্যান্ডের মধ্যে এমন অনেক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যে গুলো তে পড়াশোনা করার জন্য আপনার আইইএলটিএস স্কোর এর প্রয়োজন হবে।
আর আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলবো , আপনি যেহেতু বিদেশে পড়াশোনা করতে যাবেন। সেহেতু অবশ্যই আপনার আই ই এল টি এস কোর্স করা উচিত।

 

November 21, 2023 0 comments
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Newer Posts
Older Posts
  • Facebook
  • Linkedin
  • Youtube

@2025 - All Right Reserved. Designed and Developed by WebRoo IT


Back To Top
Mahbub Shajal
  • হোম
  • শিক্ষা
  • পাঠ্য বই
  • চাকরির খবর
  • ভর্তি তথ্য
  • সাধারণ জ্ঞান
  • প্রশিক্ষণ বিজ্ঞপ্তি
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • বিনোদন
  • লাইব্রেরি