চরিত্র মূল্যবান সম্পদ/ চরিত্র অমূল্য সম্পদ
চরিত্র মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। চরিত্র যেমন অমূল্য সম্পদ তেমন মহামূল্যবান মুকুটস্বরূপ। তাই চারিত্রিক গুনই মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে তোলে, মহৎ করে এবং অমর করে রাখে।
মানবজীবনে উন্নতি, সফলতা ও স্বার্থকতা বিকাশের জন্য চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। চরিত্রবান ব্যক্তি সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। এ ধরনের মানুষ জাগতিক লোভ-লালসা ও মিথ্যা প্রলোভনে কখনো প্রলুব্ধ হয় না। এরা অন্যায়ের সাথে কখনও আপোষ করে না। চরিত্রবান মানুষ সবার শ্রদ্ধার প্রাত্র। চরিত্রবান মানুষের সংস্পর্শে এলে যে কোন মানুষ সত্য ও সুন্দর পথের সন্ধান পায়। অপরদিকে দুশ্চরিত্র ব্যক্তি সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য অকল্যানকর। যদি কোন লোক চরিত্রহীন হয় তাহলে তার শিক্ষা-দীক্ষা, অর্থ-সম্পদ সবকিছুই মূল্যহীন হয়ে পড়ে। চরিত্রহীন ব্যক্তি তার লোভলালসা ও হিংসা –বিদ্বেষ দিয়ে সমাজ ও দেশকে কষুলিত করে। তারা সামাজিকভাবে পশুর চেয়ে অধম বলে বিবেচিত হয়। চরিত্রবান ব্যক্তি তার মনুষ্যত্ব ও বিবেক দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে জন্য কাজ করে। পক্ষান্তরে, চরিত্রহীন ব্যক্তি বিষধর সাপের মতো ভয়ংকর। এধরনের ব্যাক্তিরা যে কোন ভয়ংকর, নীচ কাজ করতে দ্বিধা করে না। প্রত্যেক মানুষকে জীবনে সফলতার জন্য , দেশ ও জাতির কল্যানের জন্য উত্তম চরিত্র গঠন করতে হবে। আমাদের নিজ নিজ ধর্ম আমাদেরকে উত্তম চরিত্র গঠন করতে শেখায়। তাই উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য ধর্ম শিক্ষাকে আকড়ে ধরতে হবে এবং বিখ্যাত মনিষীগনের জীবন যাপনকে ভালভাবে জানতে হবে। সম্পদ হারিয়ে গেলে তা পুনরূদ্ধার করা যায় কিন্তু চরিত্র হারালে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না।
চরিত্রবান ব্যক্তি নিজ জীবনকে যেমন আলোকিত করে তেমনি সমাজ, দেশ ও জাতিকে আলোকিত করে। তাই কোন জাতিকে উন্নত করতে হলে অবশ্যই উন্নত চরিত্রের জাতি গঠন করতে হবে।