মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স আবারও সুপারহিরোদের মিলনমেলা ঘটিয়ে নতুন অ্যাভেঞ্জার্স নিয়ে আসতে চলেছে। এবারের কিস্তির নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’। এ সিনেমায় ফিরে আসবেন জনপ্রিয় সব সুপারহিরোরা। অনেক তারকাকে দেখা যাবে বিরতির পর অ্যাভেঞ্জার্স দিয়ে ফিরতে।
তাদের অন্যতম একজন ক্রিস ইভান্স। হলিউড রিপোর্টার খবর দিয়েছে, তিনিও ফিরছেন নতুন অ্যাভেঞ্জার্সে। পৃথিবীর বুক থেকে কালো ছায়া দূর করতে সুপারহিরোদের লড়াইয়ে তিনিও অংশ নেবেন।
ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে ক্রিস ইভান্সের জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে তিনি ‘ডেডপুল’ এবং ‘উলভারিন’ সিনেমায় জনি স্টর্ম/দ্য হিউম্যান টর্চ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেটি ছিল ফক্স দ্বারা নির্মিত ফ্যান্টাস্টিক ফোর সিনেমাগুলোর পুনরাবৃত্তি।
তাই এখন পর্যন্ত এটি স্পষ্ট নয় যে ইভান্স কোন চরিত্রে অ্যাভেঞ্জার্সে ফিরে আসবেন। তিনি কি ক্যাপ্টেন আমেরিকা হয়েই ফিরবেন নাকি জনি স্টর্ম চরিত্রে- নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। আপাতত ক্রিস ইভান্স ফিরছেন সুপারহিরো হয়ে এই খবরেই খুশি তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
নতুন অ্যাভেঞ্জার্সে ক্যাপ্টেন আমেরিকা হয়ে ফিরবেন ইভান্স
মার্ভেল কমিকসের স্টিভ রজার্স চরিত্রটিই সুপারহিরো ক্যাপ্টেন আমেরিকা। ক্রিস ইভান্স একাধিকবার এই চরিত্রে কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১০ সালে তিনি প্রথম ক্যাপ্টেন আমেরিকা হতে রাজি হন এবং নির্বাচিতও হয়ে যান। ২০১১ সালে ইভান্সকে প্রথম ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে দেখা যায় ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’ ছবিতে। এরপর অনেক মার্ভেল সিনেমায় কাজ করেছেন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ সিনেমায় দেখা যায় ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রের স্টিভ রজার্স অবসর নেন। সেসময় তিনি আরেক সুপারহিরো ফ্যালকন চরিত্রের স্যাম উইলসনকে ক্যাপ্টেন আমেরিকার শিল্ড দিয়ে যান। সেই ছবিতে স্যাম উইলসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি ম্যাকি। ২০১৯ এর পর আর মার্ভেলের সিনেমায় ক্রিস ইভান্সকে দেখা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে নতুন অ্যাভেঞ্জার্সে তাকে ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে হাজির করবেন পরিচালক রুশো ব্রাদারর্স। আর যদি এমনটা হয় তবে তা হবে মার্ভেলপ্রেমীদের জন্য দারুণ কিছু। ২০২৩ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ইভান্সও চরিত্রটিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বলেন, ‘যদি সঠিক গল্প হয় তবে ফিরতে প্রস্তুত। আমি চাই না এটা কেবল টাকা উপার্জনের জন্য হোক। প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রত্যাবর্তন চাই আমি। আমার মনে হয় দর্শকও তাই চায়।’
ক্যাপ্টেন আমেরিকা সম্পর্কে আরও কিছু অজানা কথা
ক্যাপ্টেন আমেরিকা মার্ভেল কমিকসের একটি জনপ্রিয় সুপারহিরো চরিত্র। এই চরিত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা, যা মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স (MCU) এর অংশ। নিচে ক্যাপ্টেন আমেরিকার প্রধান সিনেমাগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
১. Captain America: The First Avenger (2011)
পরিচালক: জো জনস্টন
কাহিনি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্টিভ রজার্স নামের একজন দুর্বল কিন্তু সাহসী যুবককে “Super Soldier Serum” দিয়ে সুপার-সোলজার বানানো হয়। এরপর তিনি ক্যাপ্টেন আমেরিকা রূপে রেড স্কাল ও হাইড্রার বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
২. Captain America: The Winter Soldier (2014)
পরিচালক: অ্যান্থনি রুসো ও জো রুসো
কাহিনি: আধুনিক যুগে ক্যাপ্টেন আমেরিকা (স্টিভ রজার্স) শিল্ডের (S.H.I.E.L.D.) দুর্নীতির সাথে লড়াই করেন এবং তার পুরনো বন্ধু বাকিকে “উইন্টার সোলজার” রূপে আবিষ্কার করেন। এই সিনেমাটি থ্রিলার ও অ্যাকশনের জন্য বিখ্যাত।
৩. Captain America: Civil War (2016)
পরিচালক: অ্যান্থনি রুসো ও জো রুসো
কাহিনি: অ্যাভেঞ্জার্সের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় যখন সরকারের পক্ষ থেকে সুপারহিরোদের রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম জারি করা হয়। স্টিভ রজার্স (ক্যাপ্টেন আমেরিকা) এবং টনি স্টার্ক (আয়রন ম্যান) দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এটি মার্ভেল ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা।
অন্যান্য সিনেমায় উপস্থিতি
ক্যাপ্টেন আমেরিকা আরও অনেক MCU সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যেমন:
The Avengers (2012)
Avengers: Age of Ultron (2015)
Avengers: Infinity War (2018)
Avengers: Endgame (2019)
এছাড়াও, Avengers: Endgame-এ ক্যাপ্টেন আমেরিকার চরিত্রটি একটি চমৎকার পরিণতি পায় যেখানে স্টিভ রজার্স তার ঢাল তুলে নতুন প্রজন্মের কাছে ক্যাপ্টেন আমেরিকার ঐতিহ্য তুলে দেন।
সোর্স চ্যাট জিপিটি, ইন্টারনেট